বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৩

ঠিকভাবে দরজা বন্ধ করেছি তো!

নিজের নিরাপত্তা, পরিবারের নিরাপত্তা নিজেকেই সংরক্ষণ করতে হবে। কারো উপর ভরসা করা মানেই জীবনের ঝুঁকি নেয়া! জেনে শুনে বুঝে এই ঝুঁকি যদি কেউ নিতে চায় তবে সেটা হয় খাল কেটে কুমির আনার সমতুল্য। আসলেই কি নিজের, পরিবারের, মালের  নিরাপত্তা নিজে জোরদার করতে আসলেই কতটা সক্ষম? সকলেই জানমালের নিরাপত্তা চায়। এমতাবস্থায় -

ঈদ উল ফিতরের লম্বা ছুটিতে ঢাকা শহরে বসবাসরত বেশীরভাগ মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন নিজের নিকট আত্মীয় কিংবা সকল সদস্য একসাথে উপভোগ করতে। নগরের বাসাটির নিরাপত্তার জন্য ১/২ টি  তালা কি যথেষ্ট? বাড়ির নিরাপত্তা কর্মী কি পারবেন সকল ধরনের অস্বাভাবিক অবস্থার মোকাবেলা করতে?


প্রতিটি ঘরের নিরাপত্তা দেয়া যাবে না, সকলে জেনো নিজ দায়িত্ব নিয়ে বাসা বন্ধ করে রেখে যায় এমন প্রস্তাব ইতিমধ্যে উপরমহল থেকে বিগত বছর গুলুতে এসেছে! এবারও একই প্রস্তাব আসবে ঈদে ঘরমুখো মানুষগুলুর প্রতি?
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং দেশের দায়িত্বরত দেশ প্রধানরা যদি জানমালের দায়িত্ব নিতে ৪/৭ দিনের জন্য এমন প্রস্তাব দেন তবে কার কাছে রেখে যাবে সকলে? তাহলে কি আল্লাহ্‌র মাল আল্লাহ ই দেখবে! এমন কথায় ভরসা করবে?

পাল্টাপাল্টি আক্রমন বন্ধ করে দল মত নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষকে মুসলমান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড়  উৎসব ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনে সকলের মনোভাব হবে উদার এবং সহনশীল। দল মত নির্বিশেষে সকলেই এক হয়ে ঈদ আনন্দ উদযাপন করবে সেই প্রত্যাশা আশা  বাংলার সকল মানুষের !

বাড়ি গিয়ে ঈদ উৎযাপন করতে গিয়ে যদি বাসার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করতে হয় ভাবতে হয় আসার সময় বাসার তালাটা সঠিক ভাবে লাগিয়েছিলাম তো? দরজা জানালাগুলু কি সঠিক ভাবে বন্ধ করেছি? চোর ঢুকল নাতো? চুরি হল কি? বাসায় ফিরে কি সব লণ্ডভণ্ড পাবো এমন দুশ্চিন্তায় ঈদের আনন্দ নিরানন্দ হয়ে যায় অনেকের!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন