চমকে উঠার মত শিরোনাম! কোথায় হচ্ছে এই ব্যবসা! সারা বছর জুড়েই
হচ্ছে তবে ঈদ কিংবা কোন বড় উপলক্ষ আসলে বেড়ে যায় ঐ চড় থাপ্পড় ব্যবসা কদর।
উপচে পরা ভীর লক্ষ্য করা যায় সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে। বিয়ে শাদীতেও এই সেবা
জমজমাট। গ্রামে গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে এই ব্যবসা!
একটি সময় এই সেবা শুধু নারীরাই নিতে যেতেন। এখন নারী পুরুষ, ছেলে, মেয়ে সকল বয়সীরা এই সেবা নিতে আগ্রহী! সকলেই যায় যেতে হয় মতো অংশ হয়ে গেছে। কোথায় সেই চড় থাপ্পড় জায়গা যেখানে গিয়ে আমরা সেবা নেই?
- মেয়েদের জন্য বিউটি পার্লার
- ছেলেদের জন্য সেলুন
দুই নামে পরিচিত হলেও এখন সেবা অনেক মিল আছে।
এখানে কি হয়? ফেসিয়াল? পুরা অংশটাই চড় থাপ্পড় যাকে আমরা বলি মেসেজ! বডি ম্যাসেজ! রূপচর্চার জন্য রমরমা ব্যবসা। যেখানে প্রতারণা আর ধাপ্পাবাজি দিয়েই বেশীরভাগ সেলুন আর পার্লার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে।
ছেলেদের সেলুনে কি করা হয়? বর সাজানো, চুল কাটা, চুলে রঙ শেভ, ফেসিয়াল ইত্যাদি। মেয়েদের বেলায় তালিকাটা বেশ লম্বা! বউ সাজানো, চুল রঙ, চুল কাটা, নখ ভুরু কাটা, হাত পা পরিস্কার, চুলের তেল থেকে মেহেদী লাগান, রূপ চর্চার নানা দিক, স্পা আরও কতো কি! সকল সেবার সঙ্গেই চড় থাপ্পড় মারা ম্যাসেজ সেবা দিয়ে থাকে।
এইসব যায়গার আরও একটি মিল আছে যেটায় অনেকেই বিব্রত! সেবা নিতে গেলে দেখা যায় দায়িত্বরত কর্মীরা আলাদা ভাষায় কথা বলছে! যাতে সেবা গ্রহীতা বুঝতে না পারে। এটা নিয়ে নানা সময়ে অভিযোগ করা হলেও পরিবর্তন আসেনি।
পারসোনার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করে একজন ডাক্তার খুব আলোচিত হয়েছিলেন! যেখানে তারা গোপন ক্যামেরায় ধারন করছিলেন উক্ত সেবা গ্রহীতার ছবি! খুব আলোচিত, সমালোচিত হয়েছিল সেই খবরটি! পরবর্তীতে জানা গেছে অভিযোগ দাতার সঙ্গে মোটা অঙ্কের লেনদেন করে মামলা তুলে নেয়া হয়েছে! যার বিপরীতে পারসোনা ঘোষণা করলো যারা সেবা নিতে যাবে তাদের সাথে থাকা কোন মূল্যবান সামগ্রীর দায়িত্ব কর্তৃপক্ষ নিবে না !
সেলুনে ছেলেদের চুল কাটে ১০০/- ২০০/- বা ৩০০/- টাকার মধ্যেই। কিন্তু মেয়েদের বিউটি পার্লারে চুলের মাথা ছাটতে পারা যায় না এই অঙ্কের টাকায়। অথচ ছেলেদের চুল কাটার সময় এবং পরিশ্রম চোখে পরার মতো। তদ্রুপ একজন বউ সাজাবে – ৮০০০/- ১২০০০/- বা ১৬০০০/- টাকা নিচ্ছে! বলা হয় এক্সপার্ট, নতুন, মাঝামাঝি ধরনের মেয়ে দিয়ে বউ সাজানোর জন্য মূল্য আলাদা!
শেভ করতে দেখা যায় পুরু মুখ জুড়ে শেভিং ফোম মাখে(!)কিন্তু কেন? এর কোন উত্তর নেই(!), চুল কেটে ঘাড় পিঠ মাথায় কিছু চড় থাপ্পড় নামক ম্যাসেজ তেমনি মেয়েদের বেলায় ও ফেসিয়াল করতে গেলে শুরুতেই কিছু ম্যাসেজ আরাম তারপর শসা, আলু! উপটান তেলেসমাতি দিয়ে ব্যাস নানা নামকরণে নেয়া হয় নানা মূল্য! ফেসিয়াল শেষে কিছু কিল ঘুসি পিঠে যে ম্যাসেজ নামে পরে না এটি বলা বাহুল্য!
স্পা করতে গেলে তো মনে হয় মহারানী এসেছেন উনাকে বরণ করছেন। গল্প করছেন, জুস খাওয়াচ্ছেন আরও যে কতো কি! বিনিময়ে নিয়ে নিচ্ছে ৫-১০ হাজার টাকা ঘণ্টা অনুযায়ী! হাস্যকর হলেও সত্য এমন একটি সেবা আমি একবার নিতে গিয়েছিলাম। ৩০ মিনিটে ২০০০ টাকা দিয়ে! উদ্দেশ্য একটাই আসলে কি কি হচ্ছে ওখানে? তারপর থেকে আমার স্বামী বাসায় আসার পর আমাকে খেপাত ও তুমি ২০০০ টাকা দিয়ে এক গ্লাস জুস খেয়ে আসলা? মাসে কয় বার যেতে হবে? উত্তরে- মাসে একবার! ব্যাপার না যেও! এক গ্লাস জুস বলে কথা! এর পর আর যাওয়া হয়নি।
রূপচর্চা কোন বয়স থেকে দরকার? এর উত্তরে রূপ বিসেজ্ঞরা বলেন মেয়েদের বয়স ৩০ বছর হবার আগে পার্লারে রূপচর্চা করতে আসার প্রয়োজন নেই! কিন্তু পার্লারে গেলে দেখা যায় কিছু কিছু প্যাকেজ- স্কুল, কলেজের ছাত্রীদের জন্য যেগুলু বরাদ্দ এবং মূল্য ২০০-৪০০ টাকা। এই মেয়েগুলুর বয়স তো ৩০ বছর এর ধারে কাছেও না! তাহলে আপারা কি করছেন? ক্যামেরার সামনে এক কথা বলছেন আর উনাদের দেয়া সেবা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভিন্ন চিত্র মিলে!
ঈদ উপলক্ষে তো এই চড় থাপ্পড় খেতে সকলেই হুমড়ি খেয়ে পরছে। কেউ কেউ চুল রাঙ্গানো আবার হাতে মেহেদী লাগানো কিংবা নিজেকে ঈদে নতুন রূপে সকলের মাঝে তুলে ধরতে!
একটি সময় এই সেবা শুধু নারীরাই নিতে যেতেন। এখন নারী পুরুষ, ছেলে, মেয়ে সকল বয়সীরা এই সেবা নিতে আগ্রহী! সকলেই যায় যেতে হয় মতো অংশ হয়ে গেছে। কোথায় সেই চড় থাপ্পড় জায়গা যেখানে গিয়ে আমরা সেবা নেই?
- মেয়েদের জন্য বিউটি পার্লার
- ছেলেদের জন্য সেলুন
দুই নামে পরিচিত হলেও এখন সেবা অনেক মিল আছে।
এখানে কি হয়? ফেসিয়াল? পুরা অংশটাই চড় থাপ্পড় যাকে আমরা বলি মেসেজ! বডি ম্যাসেজ! রূপচর্চার জন্য রমরমা ব্যবসা। যেখানে প্রতারণা আর ধাপ্পাবাজি দিয়েই বেশীরভাগ সেলুন আর পার্লার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে।
ছেলেদের সেলুনে কি করা হয়? বর সাজানো, চুল কাটা, চুলে রঙ শেভ, ফেসিয়াল ইত্যাদি। মেয়েদের বেলায় তালিকাটা বেশ লম্বা! বউ সাজানো, চুল রঙ, চুল কাটা, নখ ভুরু কাটা, হাত পা পরিস্কার, চুলের তেল থেকে মেহেদী লাগান, রূপ চর্চার নানা দিক, স্পা আরও কতো কি! সকল সেবার সঙ্গেই চড় থাপ্পড় মারা ম্যাসেজ সেবা দিয়ে থাকে।
এইসব যায়গার আরও একটি মিল আছে যেটায় অনেকেই বিব্রত! সেবা নিতে গেলে দেখা যায় দায়িত্বরত কর্মীরা আলাদা ভাষায় কথা বলছে! যাতে সেবা গ্রহীতা বুঝতে না পারে। এটা নিয়ে নানা সময়ে অভিযোগ করা হলেও পরিবর্তন আসেনি।
পারসোনার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করে একজন ডাক্তার খুব আলোচিত হয়েছিলেন! যেখানে তারা গোপন ক্যামেরায় ধারন করছিলেন উক্ত সেবা গ্রহীতার ছবি! খুব আলোচিত, সমালোচিত হয়েছিল সেই খবরটি! পরবর্তীতে জানা গেছে অভিযোগ দাতার সঙ্গে মোটা অঙ্কের লেনদেন করে মামলা তুলে নেয়া হয়েছে! যার বিপরীতে পারসোনা ঘোষণা করলো যারা সেবা নিতে যাবে তাদের সাথে থাকা কোন মূল্যবান সামগ্রীর দায়িত্ব কর্তৃপক্ষ নিবে না !
সেলুনে ছেলেদের চুল কাটে ১০০/- ২০০/- বা ৩০০/- টাকার মধ্যেই। কিন্তু মেয়েদের বিউটি পার্লারে চুলের মাথা ছাটতে পারা যায় না এই অঙ্কের টাকায়। অথচ ছেলেদের চুল কাটার সময় এবং পরিশ্রম চোখে পরার মতো। তদ্রুপ একজন বউ সাজাবে – ৮০০০/- ১২০০০/- বা ১৬০০০/- টাকা নিচ্ছে! বলা হয় এক্সপার্ট, নতুন, মাঝামাঝি ধরনের মেয়ে দিয়ে বউ সাজানোর জন্য মূল্য আলাদা!
শেভ করতে দেখা যায় পুরু মুখ জুড়ে শেভিং ফোম মাখে(!)কিন্তু কেন? এর কোন উত্তর নেই(!), চুল কেটে ঘাড় পিঠ মাথায় কিছু চড় থাপ্পড় নামক ম্যাসেজ তেমনি মেয়েদের বেলায় ও ফেসিয়াল করতে গেলে শুরুতেই কিছু ম্যাসেজ আরাম তারপর শসা, আলু! উপটান তেলেসমাতি দিয়ে ব্যাস নানা নামকরণে নেয়া হয় নানা মূল্য! ফেসিয়াল শেষে কিছু কিল ঘুসি পিঠে যে ম্যাসেজ নামে পরে না এটি বলা বাহুল্য!
স্পা করতে গেলে তো মনে হয় মহারানী এসেছেন উনাকে বরণ করছেন। গল্প করছেন, জুস খাওয়াচ্ছেন আরও যে কতো কি! বিনিময়ে নিয়ে নিচ্ছে ৫-১০ হাজার টাকা ঘণ্টা অনুযায়ী! হাস্যকর হলেও সত্য এমন একটি সেবা আমি একবার নিতে গিয়েছিলাম। ৩০ মিনিটে ২০০০ টাকা দিয়ে! উদ্দেশ্য একটাই আসলে কি কি হচ্ছে ওখানে? তারপর থেকে আমার স্বামী বাসায় আসার পর আমাকে খেপাত ও তুমি ২০০০ টাকা দিয়ে এক গ্লাস জুস খেয়ে আসলা? মাসে কয় বার যেতে হবে? উত্তরে- মাসে একবার! ব্যাপার না যেও! এক গ্লাস জুস বলে কথা! এর পর আর যাওয়া হয়নি।
রূপচর্চা কোন বয়স থেকে দরকার? এর উত্তরে রূপ বিসেজ্ঞরা বলেন মেয়েদের বয়স ৩০ বছর হবার আগে পার্লারে রূপচর্চা করতে আসার প্রয়োজন নেই! কিন্তু পার্লারে গেলে দেখা যায় কিছু কিছু প্যাকেজ- স্কুল, কলেজের ছাত্রীদের জন্য যেগুলু বরাদ্দ এবং মূল্য ২০০-৪০০ টাকা। এই মেয়েগুলুর বয়স তো ৩০ বছর এর ধারে কাছেও না! তাহলে আপারা কি করছেন? ক্যামেরার সামনে এক কথা বলছেন আর উনাদের দেয়া সেবা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভিন্ন চিত্র মিলে!
ঈদ উপলক্ষে তো এই চড় থাপ্পড় খেতে সকলেই হুমড়ি খেয়ে পরছে। কেউ কেউ চুল রাঙ্গানো আবার হাতে মেহেদী লাগানো কিংবা নিজেকে ঈদে নতুন রূপে সকলের মাঝে তুলে ধরতে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন