বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩

ডাকঘর সেবার মান বাড়ানো দরকার


“ ডাক পিয়ন এর হাজারো চিঠির ভিড়ে তোমার চিঠি আমার কাছে কি গো আসবে ফিরে “ কিংবা “ চিঠি দিও প্রতিদিন চিঠি দিও “এই গান গুলো এখন আর শুনা যায় না কিংবা এই ধরনের কথা দিয়ে নতুন কোন গানও লিখা হয়না! কারন ডিজিটাল পদ্ধতিতে আমরা আমাদের যোগাযোগ মাধ্যমটা সহজ করে ফেলেছি! আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাবহারে আমাদের জীবনে যোগাযোগে সময় লাগছে না বললেই চলা যায়।

এমতাবস্থায় আমাদের ডাকঘর অকার্যকর হয়ে গেছে বলা যায়। এখন ডাকঘরে গ্রাহক কম। সেবা নিতে যায় খুব মানুষই কারন, পাশাপাশি চলে এসেছে দ্রুততম গতির কুরিয়ার সার্ভিস। তাই কেউ ডাকঘরে যায় না পারত পক্ষে।

বর্তমান চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে যদি ডাকঘরকে আধুনিকায়ন করা হয় তবে ডাকঘর সেবা বিলিন হয়ে যেত না। এর জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন, দ্রুততম গতিতে টাকা পয়সা লেনদেন। যেটা ইদানীং ৩/৪ টা বেসরকারি ব্যাংক দিয়ে আসছে। খুব সহজেই এটা সরকারী ডাকঘর দিতে পারে। দ্রুততম কাগজপত্র আদান প্রদান। যেটা এখন ই এম এস পদ্ধতি আছে সেটাকে আরও উন্নত করা। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বিল গুলোও সংগ্রহ করতে পারে ডাকঘর। এই সেবাগুলোও বেসরকারি ব্যাংক দিচ্ছে।

যেহেতু দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় ডাক বিভাগ তাদের বৃহৎ অবকাঠামো নিয়ে অবস্থান করছে, তাদের বেতনভূক্ত লোকবলও আছে।শুধু প্রয়োজন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে একটু আধূনিকায়ন। এই অবস্থানটি অনেক মূল্য বহন করে। আমরা নাগরিকরা চাই না এই সেবাগুলো প্রাইভেট সেক্টর থেকে গ্রহণ করতে। জনগণের রেভিনিউ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানে থাকুক এটাই আমাদের চাওয়া। সরকার চাইলেই বাংলাদেশে একটি আধূনিক ডাক ব্যবস্থা আমাদের হাতের নাগালে এনে দিতে পারে।
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন