বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩

দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে নিহত এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রাপ্তি!!!!!

বিডিআর বিদ্রোহে নিহত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত পরিবার বর্গকে জানাই আমার সালাম শ্রদ্ধা ভালবাসা । যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে গেল তারা কি পেলো ? তাদের পরবর্তী প্রজন্ম কি পেল??
বি ডি আর বিদ্রোহে নিহতদের পরিবার কে সকারের পক্ষ থেকে অনেক সুবিধাই দেয়া হয়েছে । কিন্তু তাদের সন্তান কিংবা পরিবারের অন্য সব সদসসদের যদি কর্ম ক্ষেত্র, ভর্তি পরীক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে একটা আলাদা কোটা দেয়া হলে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা উপকৃত হত এবং একটা আলাদা সন্মানে ভূষিত হতো । এককালীন টাকা , একটা বাড়ি/ফ্ল্যাট দিয়ে তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব শেষ বলে আমি মনে করিনা ।
আমি মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্মগ্রহন করিনি, কিন্তু বিডিআর বিদ্রোহের সময় প্রাপ্ত বয়স্ক একজন নাগরিক। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কান্না ও চাপাকষ্ট আমি প্রতিটি মূহুর্ত দেখছি বলা যায় । যার প্রিয়জন হারিয়ে গেছে সেই কেবল জানে প্রিয়জন হারানোর বেদনা কত তীক্ষ্ণ কত বর্ণহীন । আমরা অনেকেই নিহতদের প্রিয়জনদের কান্না দেখে কেঁদেছি, কষ্ট পেয়েছি কিন্তু পরক্ষণে ভুলেও গেছি কারন আমিতো আমার পরিবার থেকে কাউকে হারাইনি । আমার পরিবারতো আমার সাথে আছেই । আমরা এখন প্রতি বছর “ বিডিআর বিদ্রোহ” দিবস পালন করি । আর মাঝে মাঝে শুনে থাকি বিচার কাজ চলছে! কবে শেষ হবে এই প্রক্রিয়া!! কবে সেই খুনিদেরকে শাস্তি দেয়া হবে তিলে তিলে ! ফাঁসি কিংবা যাবত জীবন কারাদন্দের থেকেও ভয়ঙ্কর শাস্তি এই খুনিদের প্রাপ্য ।
আমরা কোন সভ্য দেশের নাগরিক ? দেশ রক্ষার কাজে নিয়জিতরাই একজন আরেক জনকে হত্যা করছে! আমরা তাহলে কাদের হাতে তুলে দিলাম দেশের দায়িত্ব? আমরা’তো নিজেরাই নিজেদের ভাল চাইনা! একে অপরের শত্রু আমরা! পোশাক আর নাম বদলালেই কি আমাদের চরিত্র বদলে যাবে? আমরা কি পারবো সভ্য হতে! তবে কি রঙ আর কাপড় সবাইকে পরিবর্তন করে দিতে পারবে? কোন দিন পারে?
দেশের জন্য জারা জীবন দিল তাদের প্রতি আমাদের যথার্থ সন্মান আমরা কি দিতে পেরেছি আজও ? মুক্তিযোদ্ধার সন্তাদের জন্য কোটা আছে ঠিকই কিন্তু দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা কি পাচ্ছে সেই সুযোগ কিংবা সন্মানটুকু? আমি তো দেখছি পাচ্ছে না । কারন আমার বোনের ছেলে পায়নি। আমার দুলাভাই একজন মুক্তিযোদ্ধা । লড়াই হয় সন্তানে সন্তানে । কারন কোটা থেকে নাকি সন্তানের সংখ্যা বেশি? আর যে পরিমান মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দেয়া হয় এটা কি আদৌ কার্যকর এই দ্রব্য মুল্যের উর্ধগতির বাজারে? এটা খুবই অমানবিক, অসম্মানজনক অংক।
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তাদের মাঝেই যদি লড়াই করে জিততে হয় পেতে হয় সোনার হরিন নামক চাকরি কিংবা পদ তাহলে তাদের জন্য কোথায় রইল আর আলাদা কোটা ?
যুদ্ধাপরাধীদেরর বিচার যেমন খুব জরুরিভাবে দরকার ঠিক তেমনি মুক্তি যোদ্ধাদেরকেও তাদের প্রাপ্য সন্মান, অধিকার থেকে বঞ্চিত করা ঠিক না। কিন্তু দেশের অনেক মুক্তিযোদ্ধার পরিবারই রাষ্ট্রীয় সুবিধা বঞ্চিত ।
আমরা কত ত্যাগস্বীকার করে স্বাধীন হলাম ! আমরা এবার আমাদের নিজেরা নিজদের হত্যা করলাম এই হলাম আমরা স্বাধীন দেশের সুস্থ নাগরিক! এই আমাদের দেশ প্রেম! আর স্বধীনতার অর্জিত জ্ঞান …?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন