বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩

চলতি পথে হঠাৎ থামিলাম! (বিড়ম্বনা-৪)

রিক্সা দিয়ে গুলশান -১ থেকে গুলশান -২ এ যাচ্ছি। যানজটে আটকে থেকে দেখতে পেলাম একজন বিদেশী নারী কি সুন্দর করে সবুজ রঙের শাড়ি পরে রিক্সা বসে আছে। সোনালী চুল উড়ছে সাথে সবুজ সিল্ক-এর শাড়িটাও উড়ছে দেখে আমার মন ভরে গেল। পিছন দিক থেকে দেখলাম শাড়ির আঁচল সামলাতে বেস্ত! ভাবলাম কাছে যেতে পারলেই বলবো ‘আঁচল এভাবে সামলাতে হয়’! ভালো কথা, উনি তো বাংলা বুঝবেন না! ইংলিশে বলতে হবে। তাহলে ইংলিশটা কি হবে – কি হবে সেটা গুছাতে লাগলাম আপন মনে উৎফুল্ল চিত্তে। আমি ইংলিশে কাঁচা! শাড়ির আঁচল ইংলিশ কি খুঁজে পেলাম না! ভাবতে ভাবতে নারীর পাশেই আমার রিক্সা। যেই বলতে যাব ওমনি দেখি ওমা! এ যে আমাদেরই বাংলার রমণী! চুল রং করে বিদেশী সেজেছে! শাড়ি পরা হয়েছে কোনো উপলক্ষ করে। আসলে উনি জিন্স ফতুয়া পার্টি ! হেঁসে চলে গেলাম!  ‘শাড়ির আঁচল’ ইংলিশ আজো জানা হয়নি !
গতকাল গুলশান -২ থেকে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি। অনেকে একসাথে রাস্তা পার হচ্ছি। হুট করে একজনের দিকে নজর পড়লো। কালো, ক্রিম কম্বিনেশন প্রিন্ট-এর শার্ট এবং এবং ক্রিম রঙের প্যান্ট পরা একটি মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে। এত সুন্দর করে হাঁটছে হেলে দুলে! সুন্দর, ঘাড় পর্যন্ত লম্বা চুল! আমার আর ওই মেয়েটির হাঁটার রাস্তা একদিকে অনেকক্ষণ ছিল। তাই এক সময় মেয়েটিকে আমি ক্রস করলাম। দেখতে কেমন তাকাতেই দেখি ‘আরে এতো মেয়ে নয়! ছেলে!
হানিফ সংকেতের একটি গান মনে পরে গেল ‘দূর থেকে ভাই বুঝা মুশকিল ওটা পোলা নাকি মাইয়া, …পাঙ্কু যায় যায় মরি হায় হায়’… গানটি ১৯৮৮ সালের। কিন্তু ২০১৩ সালে এসেও যথার্থ উপযুক্ত মনে হল। 
এই শহরে এরকম বিভ্রান্তিতে কম বেশি হয়ত অনেকেই পড়েছেন। আমিও তাদেরই একজন!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন