বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩

চলতি পথে হঠাৎ থামিলাম! (বিড়ম্বনা-৫)

”আফা ধরলে কিন্তু কইবেন মিটার এ যাইতেছি”! আরেহ ভাই আমাকে এই কথা বলতে হবেনা। আমি তো প্রতিদিন আসা যাওয়া করি তাই এই রাস্তার সিলেবাস আমার মুখস্থ। আপনি আগায়ে যান। কাগজপত্রের ঝামেলায় পড়লে আমি জানি না বুঝলেন! সিএনজিতে মিটার লাগানো থাকলেও ঐ টি যে কেবল এমনি ঝুলানো এটি সবাই জানি। 
মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে সোজা এগিয়ে বনানী ১১ নং রোড দিয়ে আমার সিএনজি চালক ছুটল গন্তব্য গুলশান-২   এর  দিকে। কিন্তু বনানী ১১ নং রোডে ঢুকতেই নিরাপত্তা রক্ষী আটকাল। একটু থামিয়ে হাই আপা! বলে ছেড়ে দিল।
দ্বিতীয় দফায় আরেকজন। ওদেরই লোক! আবার আটকাল। তাকিয়ে দেখল একজন নারী। কি বুঝল জানি না, ছেড়ে দিল । এটা কী চেক করা হল? সন্দেহ, লক্ষ্য ঠিক ছিল? নাকি অকারনেই দায়িত্ব পালন দেখাল পরপর দুজন!
আরেকটু এগিয়ে যেতেই বনানী গুলশান-২ এর দিকে একটি ব্রিজের ওপর পুলিশ চেক পোস্টে আটকাল! এবার একটি মৌখিক পরীক্ষা দিলাম খুব মজা আর বিরক্ত নিয়ে –
পুলিশ ভাইজান – সিএনজি ভিতরে উঁকি দিয়ে ‘আপা কি মিটারে যাচ্ছেন’ ?
সুধা – না ভাই! (পুলিশ ভাই চোখ বড় বড়)! তাহলে আপা? ভাই আমি সিএনজিতে যাচ্ছি !
পুলিশ ভাইজান – নাহ মানে আপা ! আপনি কি ফিক্সড ভাড়া করে যাচ্ছেন নাকি মিটারে?
সুধা – নাহ, মিটার না। আমি আমার পকেটের টাকা দিয়ে যাচ্ছি। নগদ ক্যাশ!
পুলিশ ভাইজান – বিরক্ত হয়ে! বুঝছি আপা আপনি যান। এই ড্রাইভার যাও… ।
আমি হেঁসে ফেললাম। চালককে বললাম ভয় পাইছিলেন তাই না? আমাকে বলে ওঠান নাই! তাই বুঝি ফাঁসায়ে দিলাম ! চালক হেঁসে বলল ‘আর ভয় আপা’! ১০০ টাকা বেশী হলে ৫০০ টাকা নিতো। ওরা তো এই কাজ করে বলেই আপনাদের আটকায়। আমিও হেঁসে বললাম ‘এই জন্যই আমি বলি নাই’! আর আমি তো আপনার সাথে কথা দিয়ে রাজি হয়ে উঠেছি। অযথা এই ঘেচাং ধরনের প্রতিবাদ আমি জানাতে চাই না!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন