বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩

বছর বছর টাকার ধরন বদলানো কি চলতেই থাকবে ??

গত ৪০ বছরে বাংলাদেশের টাকার ধরন বদলেছে ৪৩ বার । তার মানে হল প্রতি বছরে এক বারেরও বেশি । প্রতিনিয়ত এইভাবে টাকার ধরন বদলের জন্য নানামুখি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । প্রথমত একই টাকার নোট নানা রং এর হওয়াতে টাকা প্রাপককে দিতে ভুল হচ্ছে কখনো চিনতে পারছিনা । সাইজেও রয়েছে একই মানের নানা নোট। যাদের অক্ষরজ্ঞান নাই তারা নোটের রঙ এবং সাইজ দেখে লেনদেন করে। তাদের জন্যও একটা বড় সমস্যা । বেশি কম এর খেলায় সর্বদা দুলছি ।

টাকা কখনো পয়সা হচ্ছে ! বর্তমানে ৫ টাকার কাগজের নোট আছে দুই ধরনের এবং কয়েনও আছে । এক টাকার নোট মাঝে মধ্যে দেখা যায় , তবে কয়েন আছে দুই ধরনের একটা বড় এটা ছোট ব্যাসের । দুই টাকার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। নোট কয়েন দুটোই চলছে। এর কয়েনও দুই ধরনের।
বাজারে প্রচলিত প্রায় প্রতিটি মুদ্রারই বিভিন্ন সাইজ , রঙ, নক্সায় পাওয়া যায় । এতে দৈনন্দিন লেনদেনে একটা ঝক্কি পোহাতে হয়।

গত এক বছরে প্রায় ৩৫ কোটি পিস মুদ্রা ছেপেছে বাংলাদেশ ব্যাংক !
আর ০৭ মার্চ এলো আরও ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকার নতুন মুদ্রা !!!
বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষকে কেন্দ্র করে তো নতুন মুদ্রা আসছেই ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সকল সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে ছেঁড়া ও নষ্ট টাকা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ধংস করে দিচ্ছে ! কিন্তু ছেঁড়া টাকার পরিমান কোথায় কমছে?? আমি তো প্রতিনিয়তই ছেঁড়া টাকা পেতে পেতে রীতিমত ছেঁড়া টাকার সংগ্রাহক হয়ে যাচ্ছি । আমার কাছে ছেঁড়া টাকা আসে কিন্তু কেউ আর আমার কাছ থেকে সেটা নেয়না।
আর যে হারে নকল টাকায় পুরো দেশ সয়লাব হয়ে যাচ্ছে সেটাকে কি নিয়ন্ত্রণ করার কেউ আছে ?? বাংলাদেশ ব্যাংক-এর স্ট্রং রূম থেকেও নকল টাকা ধরা পড়ে! তবে নকল ধরতে করা যাবে? কবে হবে এই ডিজিটাল বাংলাদেশ দুর্নীতি মুক্ত ??!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন