বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩

চাকরির দরখাস্তে ব্যাংকড্রাফ্‌ট বানিজ্য বন্ধ করতে অন্দোলন করুন

একটি চাকরি কবে পাবো আদৌ জানি না! কিন্তু একের পর এক বাবার কাছ থেকে চেয়ে নিতে হচ্ছে ব্যাংকড্রাফ্‌টের টাকা …।। কত হাজার টাকা যে ব্যাংকড্রাফ্‌ট এর পেছনে খরচ করতে হয় একজন বেকারকে এটা কেবল সেই বেকার আর তার পরিবারই জানে। তারপরও কি মিলে চাকরি নামের সেই সোনার হরিন ?? সরকারি বেসরকারি সকল চাকরিতে ব্যাংকড্রাফ্‌ট এর নির্দেশনা আবশ্যিক…… ৫০০/৩০০ চলছেই চলছে……।।

ডিজিটাল বাংলাদেশে শুধু চাকরির দরখাস্ত করতে গিয়ে একজন বেকারকে তার বাবার কাছে থেকে দিনের পর দিন হাত পাততে হয় তবে কিভাবে কি করবে আমাদের বেকার সমাজ? ডিজিটাল পদ্ধতিতে দরখাস্ত জমা দিতে হয় তাই কত আর সাইবার ক্যাফেতে যাবে ?? সেখানেও সময় ভিত্তিক বিল, সার্ভিস চার্জ। তাই নিজ বাসায় লাগবে এটা কমপিউটার সাথে লাগবে ব্রডব্যান্ড নেট কানেকশন। বাহ্ এখানেও খরচের বাহার , তারপর দৌড় ঝাপ শুরু অমুক ব্যাংক অমুক শাখা খুঁজতে। কারন বিজ্ঞাপন দাতার নির্দেশে ওখান থেকেই করতে হবে সেই কাঙ্খিত ব্যাংকড্রাফ্‌ট টি………।

কবে বন্ধ হবে এই ব্যাংকড্রাফ্‌ট বানিজ্য ?? যা চাকরি দাতা সংস্থা গুলোর মানুষের রক্ত চোষা মনোভাবকে বলদে দিতে সাহায্য করবে? ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে তরুণদের কি লাভ হলো? সরকারের একটি নির্দেশই বেকারদের এই ভয়াবহ অর্থ যোগান যন্ত্রণা থেকে রেহাই দিতে পারে। কিন্তু আমরা বুঝে গেছি কোন সরকারই এই কাজটি করবে না। এটা হলে তাদের সুবিধাভোগী অনেকের বাড়তি আয় বন্ধ হয়ে যাবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন