বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩

র‌্যাব ও ক্রসফায়ারের হত্যা উৎসব ?

সন্ত্রাসী ধরতে গিয়ে গোলাগুলির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী নিহত । এটা কোন নতুন ঘটনা নয় । প্রতিটি হত্যাকান্ডের একই ব্যখ্যা! আমাদের RAB বাহিনীর সদস্যারা কি পারেন না জীবিত অবস্থায় প্রতিটি সন্ত্রাসীকে ধরতে? ক্রসফায়ার মানেতো দুই পক্ষের মুখোমুখি গুলি চালাচালি! তাহলে র‌্যাবের কেউ তো গুলি খেয়ে মরছেন না, একজনও আহত হচ্ছেন না! আমরা নাগরিকরা কিছুটা হলেও তো বুঝি এইসব নাটক। তাহলে তো নির্দোষ লিমনকে পঙ্গু হতে হত না । গত বছর সাভারে মারা গেল কয়েকজন ছাত্র যাদের নিতান্তই আড্ডাবাজি করতে গিয়ে জীবন দিতে হয়েছে । তারা আইনের সাহয্য চেয়েও পায়নি। পুলিশ’তো পরে স্বীকার করলো।

দোষী ব্যক্তির সাজা দিবে আদালত। আদালতের রায় উপেক্ষা করে প্রায় প্রতিদিনই নির্বিচারে মারা হচ্ছে অজস্র মানুষ। যাদের সবাই যে মৃত্যুদণ্ড পেতে পারে এমন সন্ত্রাসী নয় কিংবা অনেকেই সাধারন পথচারী। অপরাধীদের সাজা অপরাধের ধরণ প্রকৃতির উপর হয়। তাই আমি মনে করি দয়া করে ক্রস ফায়ার বন্ধ করে সন্ত্রাসীকে আদালতের সামনে হাজির করুন, এতে অনেক গোপন তথ্যও বেরিয়ে আসবে সাথে কিছু নিরপরাধ মানুষের জীবন বেঁচে যাবে।
কাউকে মেরে ফেলার অধিকার তো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাই !

অনেক বছর আগে তৎকালিন এসি আক্রামের হতে খুন হয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রুবেল। জানি না আমদের কয়জনের রুবেল-এর কথা আছে! কিন্তু আমার মনে আছে। গত সোমবার নরসিংদীতে মারা হলো ৬ জনকে। তাদের মধ্যের নাহিদ ও আরিফ-এর পরিবারের দাবি তারা এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছিল।

আইনের রক্ষকরাই যদি আইন নিজের হাতে তুলে নেয় তাহলে কাদের উপর আস্থা রেখে আমাদের নিরাপত্তার কথা ভাববো ? এদেশে কবে বন্ধ হবে বিচারবিহীন হত্যাকান্ডের উৎসব? এভাবে কি কোন সভ্য দেশ পরিচালিত হতে পারে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন