বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩

মা’কে খোলা চিঠি

মাগো ও মা !
মা  সালাম নিও। কেমন আছো? আশা করি বড় আপা দুলা ভাই ও পিঙ্কি টিঙ্কিকে নিয়ে ভালো আছো! আমরাও ভালো আছি তোমাকে ছাড়া যতটুকু থাকা যায়!
জন্মের পর থেকে তোমাকে এতদিন না দেখে আমার থাকা হয়নি। কিন্তু গত কয়েক বছর  বুকে পাথর চেপে অপেক্ষা করছি কবে তুমি আমাদের মাঝে আবার ফিরে আসবে।
মা তোমার কি মনে পড়ে সেই দিনগুলুর কথা? ছোট বেলায় তুমি আমাকে বলেছিলে! জানো মা, তুমি যখন আমার গর্ভে ছিলে তখন আমি ফ্রিসিয়ানা দুধের পাত্র টির দিকে তাকিয়ে ভাবতাম ‘আমার যদি মেয়ে হয় তবে যেন এই বিদেশী মেয়েটির মতো হয়’ ! আমি জন্মানোর পর তুমি আজো বল আমি ঐ মেয়েটির মতই দেখতে হয়েছি। বড় একটি কপাল যেটি তোমার খুব পছন্দ ছিল! মিটিমিটি চোখ, ছোট কান! সব আমার ঐ মেয়েটির মতো! তোমার স্বপ্নের কন্যা।
এখনো অনেক গল্প মনে পড়লে হাসি পায়। তুমি আমাকে অনেকবার বলেছ। আমার ছোট ভাইটি জন্মানোর পর আমি ভাইয়ের জন্য কি যে পাগল পাগল ভালোবাসা দেখেতাম। আব্বার মউলা  কাকা যখন বলতো “ সুধা তোমার ভাইকে তো আমরা নিয়ে গেছি “ তখন নাকি আমি বাসায় এসে কিছু না দেখেই ওখানে পড়েই মাটিতে গড়াগড়ি খেতাম। আমার এই গড়াগড়ির কারনে সবাই বেশি বেশি খেপাত!
আব্বা যখন বাজারে যেতো তখন আমাকে জিজ্ঞাসা করতো “ মা “ কি মাছ আনবো? আমি সব সময় বোয়াল মাছের নাম বলতাম। একদিন তুমি রেগে আব্বাকে বলেছিলে আর কতো বোয়াল খাব !
বাসায় কোন মাছ আনলেই আমি লেজ ও মাথা খেতে চাইতাম। এটা ছিল আমার তোমার কাছে ঘাড় টেরা আব্দার। তুমিও মেনে নিতে। কারন আমি বলতাম ‘আমি যদি লেজ মাথা একসাথে না খাই তবে পায়ে মাথায় লম্বা হবো কি করে?’ আমি এখন বেশ লম্বা! তাই তুমি প্রায়ই হেসে বল- ‘তুই যে মাছের লেজ মাথা একসাথে খেয়েছিস তাই এতো লম্বা হয়েছিস’ !
তোমরা আমাকে সুধা বলে ডাকতে। আমার পছন্দ হতো না। তোমাদের মুখ থেকে আমি শুনতে চাইতাম ‘শুদ্ধ মণটি’ কিংবা ‘এপেন টু টেস্তু’ ! তুমি আমাকে আজও মাঝে মাঝে আমার  শুদ্ধু মণটি টা কই বলে ডাকো। এখন একটু একটু লজ্জা পাই! তারপরও ভালো লাগে।
আব্বা যখন সিলেট থেকে বদলী হয়ে মৌলভী  বাজার চাকরী পেল তখন বাসার সব মালামাল আর মেঝো ও সেজো আপাকে ট্রাকের সাথে তুলে দিয়েছিলে। কেন আমাকে দাও নি? তাই আমি বাসায় ঢুকে সব তরকারী চুরি করে খেয়ে ফেলেছিলাম!
আব্বা এক রাতে কলা নিয়ে বাসায় এসেছে ! আমি ঘুমাই ই না ! তখন তুমি আব্বাকে বলেছিলে ‘সুধা কলা না খেয়ে ঘুমাবে না’  এবং সত্যি সত্যি আমি দুই কামড় কলা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
ছোট ভাইকে নিয়ে আম চুরি করে খেয়েছি !
যেদিন ভারতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মারা গেলেন সেদিন তুমি আব্বা খুব মন খারাপ করে আফসোস করছিলে। তখন তোমাদের আমি থামিয়ে দিয়ে বলেছিলাম ‘কষ্ট পেওনা তোমরা! বড় হয়ে আমি ইন্দিরা গান্ধী হবো’ !
মা এই সব আমার কাণ্ডগুলু তোমার কাছে থেকে শুনেছি এই জীবনে অসংখ্য বার! ইস কি দস্যি মেয়েটাই না আমি ছিলাম তোমার। কিন্তু তুমি আমাকে কখনো গায়ে হাত দিয়ে শাসন করনি।
আমার মনে আছে আমাদের অসুখ হলেই তুমি আল্লাহকে ডাকতে আর বলতে ‘হ্যাঁ আল্লাহ আমার মেয়ের অসুখটা আমাকে দিয়ে দাও । তুমি ওকে সুস্থু করে দাও’ !
ভালো কিছু রান্না করলে খেতে চাইতে না ! আজও তাই করো। খেতে বললেই একটি কথাই বল ! তোমরা খাও আমি খাবো না। জীবনে কতো খেয়েছি আমি। আমাকে আর খেতে হবে না।
একটা কিছু উপহার দিতে গেলেই তুমি বল ‘অযথা কেন টাকা নষ্ট করতেছ! টাকা জমাও কাজে দিবে ভবিষ্যতে’ !
তোমাকে যে আমি বড় হয়ে কতো জ্বালিয়েছি সেগুলু মনে পড়লে এখনো অবাক লাগে। কিভাবে তুমি সব সামলে নিতে। রাগতে না, মারতে না।
ঐ যে গ্রামের কাকাকে কাঁদার ভিতরে মাথা চাপা দিয়ে ধরেছিলাম! উফ কি যে ভয়ংকর কাজটি সেদিন আমি করেছিলাম। এখন বুঝি।
মনে পড়ে পাশের বাড়ির দাদার  ছাগল আমাদের জমির ধান খেয়েছিল বলে আমি কি করেছিলাম এবং আমি ছাগ টি লুকিয়ে রেখে নিজেও সারাদিন লুকিয়ে ছিলাম তোমার বকা দেবার ভয়ে!
সব চেয়ে খারাপ কাজটি করতাম, আমি দুষ্টামি করে ছোট ভাই বোনদের উপর দোষ চাপিয়ে ভালো সেজে বেঁচে যেতাম ! তুমি বুঝে কিন্তু আব্বা ওদের দিত ইয়া ধমক।
ছোট বোনটি খেজুর গাছ থেকে খেজুর পারতে গিয়ে উপর থেকে পড়ে ধপাশ। পা ভেঙ্গে ফেললো! তুমি কুমিল্লা নিয়ে গেলে। ওকে সুস্থ করলে..।
ছোট ভাইটির একটি শখ একটি বড় দা হাতে নিয়ে ঘুরবে। বাস একদিন বা হাতের তর্জনীটা এক কোপ দিয়ে আলাদা করে ফেললো! তুমি রাগনি  সেদিনও।
আমার ছেলেটিকেও তুমি যত্ন করেছো আদর করেছো।
মা আমি যে একটি ছড়া লিখেছিলাম ছোট বেলায় মনে আছে তোমার? কোন মানে নেই! আমার এখনো হাসি পায়। মনে করিয়ে দিবো তোমাকে? শুনো তবে
কৈ শিং পুঁটি
গম আটা  রুটি
বেণী খোপা ঝুটি
একটি দুটি
পালা কিলা খুঁটি
———————— উফ আর তো মনে করতে পারছিনা !
প্রতিদিন ভোর বেলায় তুমি কি সুন্দর করে সুরা ইয়াসিন পড়তে। তুমি যে সাদা শাড়ি পড়ে নামাজ পরতে সেটি আমি আজো দেখি। আমার ছোট বেলায়। জানালার পাশে বসে বসে!
একটি গানই গাইতে – বাগিচায় বুলবুলি তো ফুল শাখাতে দিসনে আজি দোল !
সব চেয়ে মজা লাগত যখন তুমি আব্বার সঙ্গে রাগ করলে আব্বা উত্তর দিতো না ! চুপ করে আমাকে বলতো ‘দেখো মা পাগল চেতছে’ তুমি তখন বলতে এই সুধা! আজ থেকে আমাকে আব্বা ডাকবে , আর আব্বাকে ডাকবে মা ! হাঁ হাঁ হাঁ … আব্বা আমি একজোট হয়ে হাসতাম, তোমাকে খেপাতাম!
আমি বুঝি না আজো! তোমার মধ্যে কি রাগ ছিল না? নাকি তোমার কাছে শাসন করা মানেই বকা ঝকাও মারামারি নয়!
তবে আর যে যাই বলুক মা তোমাকে ! আমি তোমাকে বলছি তুমি যেই প্রতিকুলুতার মাঝে একা একা আমাদের বড় করেছো। আব্বা তো ২/৩ মাস অন্তর অন্তর বাসায় আসতো! যেহেতু আমরা দূরে দূরে থাকতাম।
আমার মা সফল মা। মা তোমার সন্তানদের তুমি ঠিক মতো মানুষ করেছো মা। তোমার আদর্শ তোমার সন্তানদের মধ্যে বইছে বলেই আজকে আমরা সবাই সফল।
মা আমি অনেক চরাই উৎরাই পার হয়ে আজ এতদুর! তুমি জানো কতো কষ্ট কতো সাহস, দুঃসাহস আমি জীবনে নিয়েছি, করেছি! শুধুমাত্র তোমরা রক্ত আমার শরীরে বইছে বলেই! তোমার আদর্শে চলি বলেই কেউ আঙ্গুল তুলে কথা বলতে পারে না। কেউ বলতে পারে না ! “ মা শিক্ষা দেইনি ‘কিংবা কুশিক্ষা দিয়েছে’ !
মা তুমি আমার আদর্শ। তুমি জানো না মা কি শিক্ষা তুমি আমাকে দিয়েছ তোমার অজান্তে। আমি দেখেছি তুমি কিভাবে আব্বাকে সন্মান করেছো। যত্ন করেছো। আমার স্বামীও আজ খুব সুখি এবং খুশী আমার উপর! আমি জানি বুঝি আমাকে হাতে কলমে তুমি না বলেও, শিখায়ে দিলেও তোমার রক্তের টান আমাকে এমন করে দিয়েছে।
আমিও আমার ছেলের গায়ে আজো হাত তুলিনি। এটাও তোমার কাছে থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা। জানো মা এই ব্যাপারটি আমি আজকে অনুভব করলাম। যখন তোমাকে একটি চিঠি লিখব বলে ভাবছিলাম। তখন আমি আমার ছেলের মা এবং তুমি আমার মা এই দুজনের মধ্যে মিল অমিল খুজতেছিলাম। নিজেকে নিয়ে অহংকার করা হয়ে যাবে হয়তো। তারপর ও বলি মা, মা আমিও পেরেছি পারছি তোমার মতো করে আদর করতে ভালবাসতে আমার সন্তানকে! কেবল আমি চাকরী করি বলে আমার ছেলেকে পুরু সময়টা আমি দিতে পারি না। তাই বলে আমি ওকে মায়ের অনুপস্থতি বুঝতেও দেই না।
তারপর ও আমি জানি না মা ! আমি তোমার মতো সফল মা, এতো ভালো মা, দায়িত্বশীল মা হতে পারবো কিনা !
মা তুমি যেমন অনেকগুলু ছেলের সঙ্গে ৭০ এর দশকে পড়াশুনা করেছো। তোমার মেয়ে সুধা ২০১৩ সালে এসে বলতে পারি- আমিও এক গাদা ছেলের মাঝে একজন মেয়ে ছাত্রি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ দিলাম।
মা তোমাকে প্রতিদিন বলি আজো বলছি। কষ্ট পেওনা আমাদের জন্য। আমরা ভালো আছি মা। কি বলেছি মনে আছে তো! তুমি যখন বাংলাদেশ ফিরবে তোমাকে বিমান বন্দর থেকে আমি আনতে যাবো  তখন তুমি শুধু সুধা কে পাবে না! বলবে আমার ইঞ্জিনিয়ার মেয়ে সুধা এসেছে।
জানো মা একটি খুশীর খবর দেই! পিএইচডিও নাকি করাবে কথা দিয়েছে! ও আমাকে বলে “ সুধা তুমি শুধু ইঞ্জিনিয়ার সুধা নও ডক্টর সুধা হও এর জন্য আমি তোমাকে সব ধরনের সহযোগিতা করবো! তোমার  অতীত জীবনের সব কষ্ট আমি আমার করে নিলাম। তোমার সুখের দায়িত্ব আমি নিলাম। জানো মা নিজেকে খুব দুর্ভাগ্যবান ভেবেছি সারাজীব ! যখন তোমাদের জামাই আমাকে এই কথাগুলু বলে তখন সুখে পাগল হয়ে যাই আমি।
তবে মা তোমার প্রিয় নাতি বেশ পাকনা এবং দুষ্টু হয়েছে। ২/৩ টা উদাহরণ দেই বুঝবা তোমার নাতি তোমার প্রিয় হাসিন কি কি করে এবং বলে!
-      গতকাল রাতে হাসিন এর মাথা ব্যাথা ! আমি আদর করে বলতেছি ‘বাবা তোমার অসুখ হলে আমার সব চেয়ে বেশী কষ্ট হয়’ !  উত্তরে বলে উঠলো  ‘আমি পরীক্ষায় ফেল করলে কষ্ট পাও না এই তো?’
-      প্রতি রাতে একটি না একটি পোকা ধরবেই! এবং তার মামা একটি প্লাস্টিকের হাতা কিনে দিয়েছে। তাই এখন তার তিনটি হাত।
-      বাবা একটি ট্যাব কিনেছে, তাই বাবাকে ট্যাবলেট ম্যান বলে ডাকে!
মা জানো না, তোমাদের জামা টা আমার জন্য কতো কষ্ট করে ! আর কি বলে শুনবা? বলে সুধা কিছু মনে করোনা! তোমাদের পরিবারে একমাত্র তুমিই আম্মার মতো হয়েছ! আমি হেসে বলি, হল তো! তোমার তো ষোল কলা পূর্ণ! কারন তুমি আম্মার আদর্শকে খুব পছন্দ করো। মা তুমি তোমার সকল সন্তানের জন্য দয়া করো যেন তারা তোমার আদর্শে বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারে।
মা তোমাকে আমরা ভাই বোনরা কেউ কখনো কষ্ট পাইতে দেইনি ! তারপরও জীবনে শত সহস্রবার তুমি কষ্ট পেয়েছ! সেগুলুর জন্য ক্ষমা চাইছি মা! ইচ্ছে করে করিনি মা।
মাগো মা আব্বা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আব্বা মারা গেছে বিশ্বাস করতে এখনো কষ্ট হয়। মাগো  মা কথা দাও আমাদের ছেড়ে যাবে না! আব্বা যেমন পালিয়ে গেল কিছু না বলেই…। তোমার সন্তানেরা তোমাকে সকলে খুব খুব ভালোবাসে।
ইদানিং খুব মা, আম্মা আম্মি ডাকতে ইচ্ছে হয়। তখন কি করি জানো? একা একা চিৎকার করে ডাকি মা ও মা। কিংবা আম্মা আম্মা আম্মু গো আম্মু! প্রতি রাতে ঘুমাতে গেলে চোখ বন্ধ করলেই ঘুম আসেনা আগের মতো ! আম্মু গো আম্মু এমন করে কয়েক বার ডাকলে ভিতরে শান্তি অনুভব করি। ঘুমিয়ে পরি। কাছ থেকে খুব হাসিটা দেখতে ইচ্ছে করে। অশান্তি লাগে মনে হয় ছুটে যাই তোমার কাছে নইলে টেনে নিয়ে আসি।
মনে হয় আপা আমাদের মা কে আমাদের কাছ থেকে দূরে নিয়ে গেলো। রাগ হয়ে যাই আপার উপর। কিন্তু এটাও জানি আমাদের বড় আপাও আমাদের মায়ের মতো! আপা আমাদের আজো ছোট ভেবে শাসন করে ভালোবাসে। আপা তো কেড়ে নেই নি, আমরাই তো তোমাকে যেতে দিলাম !
খুব কষ্ট হয় যেদিন তুমি বাংলাদেশ থেকে চলে গেলে সেদিন আমার পরীক্ষা ছিল। আমি তোমাকে বাসায় রেখে পরীক্ষা দিতে চলে গিয়েছিলাম। বাকি ভাই বোনরা সবাই তোমার সাথে বিমান বন্দর পর্যন্ত গিয়েছে। ছবি দেখে বুঝেছি ওরা তোমাকে অনেক কাছে পেয়েছে ! আমার পরীক্ষা শুরু হল সন্ধ্যা ৭ টায়। তুমি বিমানে উঠলে ৬.৪৫ মিনিট! কি যে কেঁদেছিলাম। তুমি দেখনি।
মায়ের ভালোবাসায় নেই কোন স্বার্থ, নেই কোন লুকুচুরি, নেই কোন অসততা! মা শুধু ভালবাসতে পারেন। সন্তানের কষ্টে কাঁদতে পারেন। না খেয়ে জেগে রাত কাটাতেও দ্বিধা করে না!
একজন মা সন্তান গর্ভ ধারন থেকে যতদিন বেঁচে থাকে যেভাবে নিজেকে বিলিয়ে দেয়! আর যাই হোক বা করুক, মা কোনোদিন সন্তানের অমঙ্গল কামনা করে না ! মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেস্ত। এই কথাটি সত্যি সত্যি অনুভব করতে পারি !
মা তোমাকে নিয়ে এতো বছরের সকল স্মৃতি তো লিখে শেষ করার মতো না মা! তাই বলে ভেবনা ভুলে গেছি। সব মনে আছে। কিন্তু লজ্জা হয় অনেক কিছুই বলতে! যেমন কলেজ থেকে চিঠি লিখতাম তোমাকে ‘ভোগাই’ সম্বোধন করে। এর মানে কি ছিল জানি না। তবে মজা পেতাম।
মায়ের মতো আপন কেহ নাই রে
মা জননী নাই রে যাহার!
এই লাইনগুলু কতো আবেগি, কতো সত্যি! অনুভব করি হৃদয় থেকে! মা আমিও তোমাদের সকলের দোয়ায় একজন “ মা “ হয়েছি! সন্তানের প্রতি চাওয়া পাওয়া কিংবা যেই ভালোবাসা অনুভব হয় সেটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুভব করার সৌভাগ্য আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন!

ভালো থেকো , সুন্দর থেকো। শুনো মা আবারো বলছি আমাদের নিয়ে ভাববে না। তোমার আশীর্বাদ আমাদের উপর আছে। তাই আমরা সুস্থ সুন্দর ভালো আছি। যতদিন ভালো লাগে আপার কাছে বেড়াও!
ইতি
তোমার
সুধা ( শুদ্ধমণটি, এপেন টু টেস্তু )
বিশেষ দ্রষ্টব্য – আমি কিন্তু আগের মতোই দুষ্টু আছি। বদলাই নি। তাই প্রস্তুত থেকো। বাংলাদেশ ঢুকলেই তোমাকে আবার জ্বালানো শুরু করবো। হি হি হি হি!

সবার প্রতি  বিনীত আবেদন –
সকলকে বলবো মা কে ভালোবাসুন ! বৃদ্ধাশ্রমে মা বাবাকে দিয়ে আসবেন না! একদিন আপনিও মা কিংবা বাবা হবেন। গভীর করে ভাবুন একটু, মা ছোট বেলায় কি করে আপনাকে বড় করেছে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন